শিরোনাম
গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন যাচ্ছে গোলায়
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪
গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন যাচ্ছে গোলায়
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা
প্রিন্ট অ-অ+

কৃষিনির্ভর জেলা হিসাবে খ্যাত গাইবান্ধা। অন্যান্য কৃষি ফসলের চেয়ে ধানের ফসলের উপর নির্ভরশীল কৃষক। তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে ধানের ফসলেই নানা স্বপ্ন দেখেন।


সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে কৃষক। ধান গোলায় তোলার স্বপ্নে বিভোর এ অঞ্চলের কৃষকরা। এবারে আমন মওসুমে ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।


ধান কাটতে পেরে কতইনা আনন্দ দেখা দিয়েছে কৃষকের মনে। মনের আনন্দে ধান কাটছেন কৃষকরা। এবার ধান কাটা শুরু হওয়ায় মনে সান্তনা খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা। এবার কৃষকরা ধান গোলায় তুলে মনের ক্ষত মেটানোর চেষ্টাও করছেন।
জেলার বেশ কিছু উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা মনের আনন্দে তাদের ধান কাটছেন।


পলাশবাড়ীর কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২ একর জমির ধান কেটে বাড়িতে তুলেছি। ফলন অনকেটাই ভাল হয়েছে। কৃষানীরা স্বপ্নের ফসল গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এবার আশানুরুপ ধান ঘরে তুলতে পারায় কৃষকদের দুঃখ দুদর্শা লাঘব হবে।



সাদুল্লাপুরের কুষক মহির উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ধান গাছের প্রতি আটি বিক্রি করা হচ্ছে ২ টাকা করে। এতে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা।


ধাপেরহাট এলাকার কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, এবারে চারা রোপনের সময় প্রকৃতির পানি সংকট থাকলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির পানিতে ধানের শীষ এখন ভাল রয়েছে। এমনকি গত বছরের তুলনায় এবারে ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়েরর উপদ্রুপ কম ছিল। ফলে আশানুরুপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।


গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।


উপ-সহাকরী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে কৃষকদের ক্ষেতে কঞ্চি পুতে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাতে ওই সমস্ত কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা নিধন করতে পারে। সেই সাথে পরিচর্যা করে কম মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও কৃষকদের শেখানো হয়েছে। কৃষকরা আমাদের পরামর্শ কাজে লাগিয়ে এবারে ভাল ফলন পেয়েছে।


কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল অর্জনে প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে গিয়ে ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল অর্জন করতে পেরেছে।


বিবার্তা/তোফায়েল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com