চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাভারের একজন সফল দুগ্ধ খামারি। তিনি সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই ব্যক্তি-উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ডেইরি ফার্ম। তার এই ডেইরি ফার্মে দুগ্ধ প্রদানকারী গাভী রয়েছে প্রায় শতাধিক। দৈনিক দুধ উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় পাঁচ’শ লিটার।

শখের বসে তিনি গাভী পালন করে এখন সফলহয়েছেন। তার দেখাদেখি সাভারের বিভিন্ন এলাকার আশপাশের অন্যরাও গাভী পালনে ঝুঁকেছেন।

সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় শুটিং বাড়িতে শুরুতে ৫০টি গাভী দিয়ে একটি ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলেন ডিপজল। বর্তমানে তার ফার্মে গরুর সংখ্যা দুই’শ দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকদিন সকালে ও দুপুরে দুধ দিচ্ছে অনেক গাভী। প্রতি গাভী থেকে দৈনিক ৮-৩৫ কেজি পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। প্রায় পাঁচ’শ লিটার দুধ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন।

ডিপজল জানান, গত এক বছর আগে তিনি ৫০টি গরু দিয়ে ওই এলাকায় খামার গড়ে তোলেন। এখন ছোট বড় মিলিয়ে তার খামারে দুই’শ গরু রয়েছে। এদের মধ্যে ষাড় গরুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ গরু ভুটানের ছোট জাতের। এছাড়া খামারে বিভিন্ন জাতের বিদেশি ছাগল ও খাসি রয়েছে। তার খামারে সর্বনিম্ন গরুর দাম পাঁচ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ছাগলের দাম তিন লাখ টাকা।

প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশ থাকায় তার দেখাদেখি অন্যরা উদ্বুদ্ধ হয়ে একের পর এক খামার গড়ে তুলছেন। এছাড়া গরুর খামারের পাশাপাশি তিনি বাড়ির ছাদে কবুতরের খামার গড়ে তুলেছেন। তার কবুতর খামারে দেশী-বিদেশি বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। বিদেশি জাতের কবুতরের মধ্যে রয়েছে রেসার, লালচীলা, হোমা, এসার, পঙ্খি।

প্রতি জোড়া কবুতরের দাম প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। প্রত্যেকদিন তার গরুর ও কবুতর খামার দেখতে আসছেন চলচিত্র অভিনেতা ও অভিনেত্রীসহ আরো অনেকে।

ডিপজলের গরুর খামার লাভজনক হওয়ায় ওই এলাকার আরো অনেক বেকার যুবক গরুর খামার করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এবিষয়ে সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, ডিপজলের গরুর খামারে সরকারিভাবে সকল ধরণের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

তবে আরেকটু সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে সাভারের অনেকে গরুর খামার করার উদ্যোগ নেবে বলে মনে করেন এখানকার খামার ব্যবসায়ীরা।

বিবার্তা/শরীফুল/জহির