শিরোনাম
গাইবান্ধা-বড়দরগাহ সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তি
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০
গাইবান্ধা-বড়দরগাহ সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধা থেকে রংপুরের বড়দরগাহ সড়কের মাদারগঞ্জ। সেখান থেকে ছোট পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ। নানা কারণে রাস্তার পিচ কার্পেটিং উঠে গেছে। ফলে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি।


এলজিইডি’র আওতাধীন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ-শানেরহাট-বড়দরগাহ সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাইবান্ধা ও রংপুরের পাঁচ উপজেলার সহস্রাধিক রোগীকে। গাইবান্ধা থেকে পলাশবাড়ী হয়ে রংপুরে যেতে বেশি সময় লাগে। আর সাদুল্লাপুর-মাদারগঞ্জ-বড়দরগাহ দিয়ে রংপুর যেতে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা কম হয়। বিশেষ করে এই সড়কটি রোগীদের জন্য ব্যবহার করে থাকেন গাইবান্ধার অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। তাই অসুস্থ রোগীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত এই বেহাল সড়কটি চওড়া করে সংস্কার করার দাবি ভুক্তভোগীদের।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিঠিপুরের ৪ কিলোমিটার সড়ক জরাজীর্ণতার কারণে বাস, মাইক্রোবাস, রিকসা-ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন তাদের স্বজনরা।


গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর-মাদারগঞ্জ-বড়দরগাহ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে অল্প সময়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বারে যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। তাই রংপুরে যেতে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বাধ্য হয়ে পলাশবাড়ী হয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার বেশি এলাকা ঘুরে চলাচল করেন। আর এতে করে সময় নষ্ট হওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।


রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নসহ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক থেকে প্রতি বছর সহস্রাধিক রোগী যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্য মেডিকেল কলেজ, ক্লিনিক ও ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে।


সড়কটির অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলো চলে হেলে-দুলে। এতে করে চলাচলে সময় বেশি লাগছে। এই ছোট পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন থেকে শানেরহাট বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি বেশ ভালো। আর সামান্য কিছু ছাড়া শানেরহাট থেকে বড়দরগাহ পর্যন্ত রাস্তাটি ভালো হলেও নতুন করে ছোট পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন থেকে শানেরহাট বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির মতো পাকা করার দাবি স্থানীয়দের।


মিঠিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) এসএম ফারুক আহমদ বলেন, রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিন বছর আগে এই রাস্তাটি রিপেয়ার করা হয়েছিল। কিন্তু মাটির গুণগতমান খারাপ হওয়ার কারণে পাকা রাস্তাটি টেকসই হচ্ছে না। নতুন করে রাস্তাটি পাকাকরণ করার জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার স্যারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সংস্কার হবে।


এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন, এখন এই রাস্তাটি ১৬ ফুট আছে, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা পুনঃকার্পেটিংসহ আরও দুই ফুট বৃদ্ধি পাবে। এজন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও এই প্রস্তাব পাস হয়নি।


বিবার্তা/তোফায়েল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com