শীতের আগমনী বার্তায় কর্মব্যস্ততা ফিরে পেয়েছে রাজারহাটের ধনুকররা। শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দিন দিন লেপ-তোষক তৈরির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধনুকরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে দ্বিগুণ।
এদিকে লেপ-তোষক ও কাঁথা তৈরি করেই রাজারহাটে প্রায় ৩০০ সংসার চালছে।
সরেজমিনে রাজারহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লেপ-তোষক তৈরির ধনুকররা নিজ নিজ বাড়ির উঠোনে কেউবা খোলা জায়গায় বসে লেপ-তোষক ও কাতা তৈরি করছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। পিছিয়ে নেই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও। লেখাপড়ার পাশাপাশি পিতা-মাতাকে সহযোগিতা করতে তারাও লেপ-তোষক ও কাতা তৈরি করছেন।
এসময় কথা হয় রাজারহাট বাজারের ধনুকর আব্দুল আউয়াল (৪০) এর সাথে। তিনি জানান, বাপ-দাদার দেখাদেখি আমিও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লেপ-তোষক তৈরি করে আসছি। প্রতিদিন প্রায় ৬টি লেপ-তোষক তৈরি করা যায়। একেকটি লেপ-তোষক তৈরি করে মজুরী পাই ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে সংসারের চাহিদা কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, অর্ডার বেশি হওয়ার কারণে আমি ২জন কর্মচারী নিয়ে কাজ করি। তাদেরকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে মজুরী দেই।
ধনুক কর্মচারী বাদশা জানান, শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রতিদিনই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার আসছে। তাই ধনুক মালিক সঠিক সময়ে লেপ-তোষক দিতে না পারায় আমাদের নিয়েছেন। আমি প্রতিদিন এ কাজ করে ৩০০ টাকা পাই। এর ফলে মালিকও সঠিক সময়ে লেপ-তোষক ডেলিভারি দিতে পারেন।
তবে লেপ-তোষক তৈরির ধনুকদের দাবি, সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে ব্যবসা প্রসারিত করতে পারবেন তারা। এর ফলে সংসারে আর অভাব-অনটন থাকবে না। এমনকি বেকার যুবক-যুবতির কর্মসংস্থানের ও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
রাজারহাট বাজারের লেপ-তোষক বিক্রেতা আব্দুল আউয়াল, আকতারুল, হাতেম আলী, নুরজামাল জানান, লেপ-তোষকের মান অনুযায়ী প্রতি লেপে ৮০ থেকে ৯০টাকা লাভ হয়। তাতে দিন ঘুরে ৫ থেকে ৬টি লেপ-তোষক বিক্রি করে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা উপার্জন হয়।
বিবার্তা/লিমন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]