যৌনশক্তি বাড়ানোর আকাঙ্ক্ষায় কবুতরের মাংসের সাথে পারদ মিশিয়ে খেয়েছিলেন সুলতান (২৪) ও আনোয়ারুল (৩০)। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাদের। ওই তরকারি আরেকজন খেয়ে বমি করেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকায়।

এ ঘটনায় মৃত সুলতান রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার পুঠিমারী গ্রামের হিরো মিয়ার ছেলে ও আনোয়ারুল একই জেলার কাউনিয়া থানার হারাগাছ গ্রামের আ. ছামাদ মিয়ার ছেলে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎস্বাধীন রাব্বানী (২৫) নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চক গোপাল গ্রামের মমতাজের ছেলে।

মৃত সুলতানের বড় ভাই সোহেল জানান, গতকাল রাতে আনোয়ারুল ও সুলতান কবুতরের মাংস রান্না করে যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য তার সাথে পারদ মিশিয়ে খায়। অবশিষ্ট অংশ মুদি দোকানদার রাব্বানীকেও দেয়। খাবার খেয়ে রাব্বনী চলে যায় তার শশুরবাড়ি। সেখানে রাত ১২টার দিকে বেশ কয়েক বার বমি করলে তাকে মির্জাপুর কুমিদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত দুই জনই রাতের বেলা বমি করলে তাদেরও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

চিকিৎসক জানান, রাব্বনীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

মির্জাপুর থানার এসআই আশিকুজ্জামান জানান, দু'টি লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হাস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে তারা কার বুদ্ধিতে কবুতরের মাংসের সাথে পারদ মিশিয়ে খেয়েছে তা জানা যায়নি।

বিবার্তা/তোফাজ্জল/কামরুল