ঝিনাইদহে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে চারজন অপারেটর আহত হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা শতাধিক স্মার্টকার্ড ও ২২ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে। ভাংচুর করেছে ল্যাপটপ।

এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার জানা যায়, বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কেবিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আলী বাদী হয়ে ১১ জনের নামোলে­খসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ঝিনাইদহ নির্বাচন অফিস মহারাজপুর ইউনিয়নে সাময়িকভাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ বন্ধ রেখেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- ঘটনার দিন নিয়ম ভঙ্গ করে কৃষ্ণপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ কার্ড নিতে গিয়ে টিমের অপারেটর মাজেদুল ও সাইদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে রশিদ মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর বিকালে রশিদের নেতৃত্বে আফান মন্ডলের ছেলে মিনারুল, খাইরুল, সিদ্দিকের ছেলে উৎস, আমিরুলের ছেলে জনি মন্ডল, রুহুল আমিনের ছেলে সংগ্রাম, মনিরুলের ছেলে শেখর আহম্মেদ, নাছিরের ছেলে সোহানুর, আশরাফুলের ছেলে টিপু সুলতান, কওছারের ছেলে রাশেদ খান সজল ও মালেক মোল্লার ছেলে মোদাচ্ছের হোসেন হাতুড়ি, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

তাদের হামলায় কেন্দ্রে কর্মরত নির্বাচন অফিসের স্টাফ ইমদাদুল হক মিলন, তৌহিদুল ইসলাম, ইসরাফিল হক ও গোলাম সারোয়ার আহত হন। দুর্বৃত্তরা ১২০ থেকে ১৩০টি স্মার্টকার্ড ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ভাচুর করে একটি ল্যাপটপ। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট স্বাধীনের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে হারানো স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার সম্ভব হবে।

কৃষ্ণপুর গ্রামের সাধারণ মানুষরা অভিযোগ করেছেন, সরকার সমর্থক কিছু যুবক এই হামলার সাথে জড়িত। তাদের কারণে আজ আমাদের কপাল পুড়লো।

বিবার্তা/কোরবান/কামরুল