টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ড্রেন থেকে ভাসানী (১৮) নামের এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নিকলা দড়িপাড়া গ্রামের একটি ড্রেন থেকে ওই যুবতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ভাসানী উপজেলার ভাদুরিচর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে।

এলাকাবাসী জানায়, ভাসানী পার্শ্ববর্তী দড়িপাড়া নিকলা গ্রামে নানা রুস্তমের বাড়িতে থাকতো। বুধবার ভাসানী মায়ের সাথে দেখা করে সন্ধ্যায় আবার নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার মা রেলক্রসিং পার করে দেন। তবে ভাসানী নানান বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেও ফিরে আসে না। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে ড্রেনে ভাসানীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরিবারের লোকজন বলছে, ভাসানী প্রতিবন্ধী ছিলো। বুধবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এ কারণে তাদের ধারনা কেউ তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি ওই ড্রেনে ফেলে গেছে।

এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিঞা জানান, উপজেলার দড়িপাড়া নিকলা গ্রামের রুস্তমের মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাসানীর মা প্রায় ১০/১২ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ের কারণে বাবার বাড়িতে রেখে অন্যত্র যান। বুধবার ভাসানী মায়ের সাথে দেখা করে সন্ধ্যায় আবার নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার মা রেলক্রসিং পার করে দেন। তবে ভাসানী নানান বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেও ফিরে আসে না।

ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ড্রেনে ভাসানীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের শরীরে হত্যা করার মত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পরিবার থেকে পাওয়া তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি প্রতিবন্ধী ও মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিল। এ কারণে সে পথেই অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।

বিবার্তা/তোফাজ্জল/জহির