আট বছর বয়সের শিশু তারিক মিয়া জানে না তার জীবন প্রদীপ নিভতে বসেছে। তার ইচ্ছা অন্য শিশু-কিশোরের মতো উন্মুক্ত আলোতে ছুটে বেড়ানোর। এ জন্য হাসপাতালের বেডে আর থাকতে চায় না তারিক। অসুস্থ তারিককে কোলে নিয়েই তার জীবন সঙ্কটের কথা জানালেন শিশুটির মাতা খালেদা বেগম।
ওই শিশুর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত মালিবাড়ী ধর্মপুর গ্রামে। তার পিতা আবদুল জলিল মিয়া পেশায় একজন ডেকোরেটর মিস্ত্রী। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে পেটে ভাত জোটে না জলিলের পরিবারের।
শিশুর মাতা খালেদা বেগম জানান, জন্মলগ্ন থেকেই তারিকের শরীরে নানান রোগসহ হার্ট ফুটা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে তার শ্বাস কষ্ট ততই বাড়ছে। গত ছয় মাস আগে এটি ধরা পড়ে। এরপর গাইবান্ধা ও রংপুরে স্বনামধন্য চিকিৎসকদের কাছে শিশু তারিককে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে রংপুরে তার চিকিৎসা চলছে।
রংপুর মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু এতে তো অনেক টাকার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তার চিকিৎসা করিয়েছে দরিদ্র পিতা আবদুল জলিল মিয়া।
খালেদা বেগম আরো জানান, আমার স্বামী ডেকোরেটর মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে। সেই উপার্জনে কোনমতে তাদের জীবন চলে। এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিকিৎসার ব্যয়ভার চালানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এখনই জরুরি ভিত্তিতে তারিকের অপারেশনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন চিকিৎসক।
তারিকের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা। সন্তানের মুখের হাসি ফিরে পেতে তাই সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়েছেন পিতা-মাতা। সকলের সহযোগিতা ফিরিয়ে দিতে পারে তারিকের সুস্থ জীবন। তাই দেশের দানশীল ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নিকট আর্থিক আবেদন করছেন তারা।
তারিককে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : আবদুল জলিল মিয়া, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৭৫৬, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, দারিয়াপুর শাখা, গাইবান্ধা অথবা ০১৭১৯-২৪১৬১০ এই বিকাশ নাম্বারে।
বিবার্তা/জাকির/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]