শিরোনাম
‘যারা সুদ খায়, তারা দেশকে ভালবাসতে পারে না’
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০০
‘যারা সুদ খায়, তারা দেশকে ভালবাসতে পারে না’
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গরীবের সুদের টাকায় বড়লোক হয় তাদের আবার কিসের দেশপ্রেম। তাদের দেশপ্রেম থাকতে পারে না। দেশপ্রেম থাকলে দেশের উন্নয়ন বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না।


তিনি বলেন, যারা গরীবের রক্ত চুষে খায়, গরীবের শোষণ করে, গরীবের কাছ থেকে সুদ খেয়ে বড় হয়, তারা কখনো দেশকে ভালোবাসতে পারে না।


মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের প্ররোচণায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ করে দিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। অনেকের ধারণা ছিল বিশ্বব্যাংক ছাড়া পদ্মা সেতু হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোট এ প্রকল্প বন্ধ করতে চেয়েছিল। পদ্মা সেতুর আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে বাংলাদেশের কিছু মানুষ।


তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের মানুষের কাছে। প্রবাসীরাও আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছি। পদ্মা সেতু নিয়ে আমার সরকার ও পরিবারের নামে দুর্নীতির কথা উঠে। পদ্মা সেতুর জন্য আমাদের জাতীয় আন্তজার্তিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অপমানিত হতে হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালীকে কেউ ধাবায়ে রাখতে পারে না। সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। কারণ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।


তিনি বলেন, বহুমূখী পদ্মা সেতু ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এ সেতুর কাজ করা অনেক কঠিন। খরস্রোত নদী তাই সেতু নির্মাণে অনেক কঠিন ছিল। এরইমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। এরপরও সেতুর কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে।


শেখ হাসিনা বলেন, যারা জমি দিয়েছে তাদের জন্য আমরা প্লট দিয়েছি। তাদের জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা এ সেতুর জন্য ভিটে বাড়িও ছেড়ে দিয়েছেন। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা বাড়বে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।


তিনি বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প। সেতুটির নির্মাণ কাজ টেকনিক্যাল, সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং। গুণগতমান শতভাগ ঠিক রেখ রাখার স্বার্থে আমাদের ধৈর্য্য ও সর্তকতার সঙ্গে এর সফল বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী রবিবার সোয়া ১১ টার দিকে দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন। একইসাথে রেলসংযোগসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।


পদ্মা সেতুর চলমান কাজের উদ্বোধনের পাশাপাশি রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন ও নদী শাসন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সেনাপ্রধান আব্দুল আজিজ, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ জেলা সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।


এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেপ্রান্ত থেকেও তিনি পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন (জাজিরা প্রান্ত) এবং পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন (জাজিরা প্রান্ত) করবেন।


বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুরের শিবচর কাঁঠালবাড়ীর ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা শেষে বিকেলেই প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।


বিবার্তা/জাকিয়া


>>প্রধানমন্ত্রী আজ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যাচ্ছেন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com