হবিগঞ্জের হবিগঞ্জে চাচাতো বোনের ছেলে সত্যজিৎ দাশকে হত্যার দায়ে মামা অরবিন্দু দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।

দণ্ডিত অরবিন্দু নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের মনিন্দ্র দাশের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বানিয়াচং উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সত্যজিৎ কির্ত্তণ শুনতে গ্রামের মাঠে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রামের শ্মশানঘাট সংলগ্ন ডোবা থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় তার গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সত্যজিতের বোন অনিকা রাণী দাশ বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ জুন নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) কাজী কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

হবিগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, হত্যার অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

বিবার্তা/ছনি/জাকিয়া