লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর এলাকার বাঘের বাড়ির দরিদ্র ফাজেল মিয়ার মেয়ে সীমা আক্তার (৪)। গত ২০১৬ সালের কোনো এক শীতের সন্ধ্যায় কুপি বাতির আগুনে পুড়ে যায় তার শরীর। এরপর গ্রামে দীর্ঘদিন প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি সে। কারণ তার সুস্থতার জন্য প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা, আর সে জন্য দরকার লাখ লাখ টাকা। কিন্তু সেটি করা কোনোভাবেই সম্ভব না সীমার রিকশাচালক বাবার পক্ষে।
এদিকে অসহায় সীমার অসুস্থতার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংবাদিক ও কয়েকজন প্রবাসী। এগিয়ে আসেন ছাত্রনেতা জহির রায়হান বাবু ও স্থানীয় থানার এসআই জহির উদ্দিন।
এসআই জহির ও ছাত্রনেতা বাবু উদ্যোগ নিয়েই সীমার উন্নত চিকিৎসার জন্য সংগ্রহ করেন টাকা। আর সে টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসা হয় সীমার। সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। কিন্তু সীমার চিকিৎসার পর কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। সেই টাকা দিয়েই অসহায় সীমার পরিবারকে নির্মাণ করা দেয়া হয় নতুন একটি টিনের ঘর।
জানা যায়, গত ২০১৬ সালের কোনো এক শীতের সন্ধ্যায় কুপি বাতির আগুনে ঝলসে যায় সীমার শরীর। এরপর গ্রামেই হয় তার প্রাথমিক চিকিৎসা। কিন্তু তার সুস্থতার জন্য প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা, আর সে জন্য প্রয়োজন হয় অনেক টাকার। যা মোটেও সম্ভব হয়ে উঠছে না সীমার রিকশাচালক বাবা ফাজেল মিয়ার পক্ষে।
তিনি মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এতেই ধনাঢ্য ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংবাদিক, প্রবাসী , রামগঞ্জ থানার এসআই জহির উদ্দিন ও ছাত্র নেতা বাবু এগিয়ে আসেন। তাতেই সংগ্রহ হয়ে যায় সীমার চিকিৎসার জন্য টাকা। আর সে টাকা দিয়েই হয় তার উন্নত চিকিৎসা ও নতুন ঘর। সীমাদের নতুন ঘরটি শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উদ্বোধন করেন রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়া।
সীমার বাবা ফাজেল মিয়া বলেন, সীমা অসুস্থ হওয়ার পর টাকার অভাবে তার চিকিৎসা প্রায় বন্ধই হয়ে গেছিলো। কিন্তু বাবু ও এসআই জহির অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সীমার চিকিৎসা করান। তাতেই সুস্থ হয় সীমা। এখন আবার থাকার জন্য নতুন ঘরও করে দিয়েছেন। তাই তিনি এসআই জহির ও আর্থিক সহযোগিতা করা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে এসআই জহির উদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকার নিউজের মাধ্যমে জানতে পারি সীমা নামে একটি শিশু আগুনে পোড়ার কথা। পরে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে তার চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহ করি। আর সে টাকা দিয়েই তার উন্নত চিকিৎসা ও নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. তোতা মিয়া বলেন, অসহায় সীমার চিকিৎসা ও নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে পুলিশ সদস্যর মাধ্যমে। এটি শুনতেই গর্ব লাগে, যে আমিও একজন পুলিশ সদস্য। এছাড়াও তিনি এসআই জহির উদ্দিনসহ সহযোগিতা করা সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বিবার্তা/ফরহাদ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]