শিরোনাম
আশুলিয়ায় মাল্টা চাষে সফলতার গল্প
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৪১
আশুলিয়ায় মাল্টা চাষে সফলতার গল্প
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাভারের আশুলিয়ায় দামপাড়া গ্রামের লাল মাটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাল্টা চাষ। এ জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে ছোট বড় মাল্টার অনেক বাগান। মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে। স্বাবলম্বী হয়েছেন অসংখ্য বেকার যুবক, যারা আগে চাকরির আশায় ঘুরতেন। অন্যদেরও উৎসাহ দিচ্ছেন তারা।


ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল মাল্টা। ফলটি এক সময় বাংলাদেশর পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হলেও এখন আর পাহাড়ে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের সমতল ভুমিতেও মাল্টার চাষ করে ইতিমধ্যে সফলতা পেতে শুরু করেছেন অনেকে। এ দেশের আবহাওয়ায় মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের দুই বন্ধু এস এম মাহমুদ জামান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।


তারা জানান, আশুলিয়ার পাড়া গ্রামের দামপাড়া এলাকায় ওই দুই বন্ধু স্থানীয় আতিকুল্লাহ দেওয়ানের পরিত্যাক্ত প্রায় সাত বিঘা জমি লিজ নিয়ে ২০১৬ সালে ৭০০ গাছ দিয়ে বারি জাতের মাল্টা বাগান শুরু করেন। বছরে তাদের ওই জমির মালিককে ৬০ হাজার করে লিজের টাকা দিতে হয়। এখন তাদের বাগানে একেকটি গাছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি করে মাল্টা ধরেছে। প্রথমে ১০ লাখ টাকা বাগানে বিনিয়োগ করতে হলেও বছরে তাদের লাভ হয় প্রায় তিন থেকে চার লাখ।



দুই বছর আগে লাগানো বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সুস্বাদু মিষ্টি মাল্টা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক হওয়ায় মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এখানকার অনেক বেকার যুবক। তাদের মাল্টা বিষমুক্ত ও অনেক সুস্বাদু হওয়ায় এলাকাবাসী বাগান থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে মাল্টা কিনে নিয়ে যান।



মাল্টা বাগান মালিক এস এম মাহমুদ জামান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাদের বাগানে উৎপাদিত মাল্টা বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যে কোনো মাল্টার চেয়ে রসালো সুস্বাদু এবং অধিক মিষ্টি। তাদের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই মাল্টা চাষ করছেন এবং তার বাগানে আসছেন মানসম্মত চারা সংগ্রহের জন্য। এরই মধ্যে তারা গ্রাফটিং কলমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে মাল্টার কলম তৈরি করেছেন। নিজস্ব মাতৃগাছ হতে চারা কলম তৈরি করে তা বাগান থেকে কৃষকদের মাঝে বিক্রি করছেন। চারা লাগানোর পর নিবিড় পরিচর্যা ও জৈব প্রযুক্তি (কেঁচো সার) ব্যবহার করে মাত্র দুই বছর বয়সে মাল্টা ধরেছে বাগানে। এছাড়া তাদের মাল্টা বাগানে চোর হাত থেকে রক্ষায় বিদেশী কুকুর রাখা হয়েছে। মাল্টা বাগানে কাজ করে প্রতিদিন ৪০০ করে টাকা পান শ্রমিকরা।



আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর বলেন, আমি দুই বন্ধুর মাল্টা বাগান দেখেছি, তাদেরকে আমার ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। মাল্টা অর্থকরী ফসল। এটি সুস্বাদু ফল। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এটি চাষে এলাকার পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সঠিক ও পরিকল্পিতভাবে মাল্টা বাগান গড়ে তুলতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে।


বিবার্তা/শরীফুল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com