শিরোনাম
কাঁঠালিয়ায় জলজ আগাছার কারণে আমন আবাদ ব্যাহত
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০০
কাঁঠালিয়ায় জলজ আগাছার কারণে আমন আবাদ ব্যাহত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচঁরী জমাদ্দার হাট, মাঝি বাড়ী, জয়খালী, মধ্য কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, লতাবুনিয়া, সৈয়দপুর কচুয়া, বিনাপানি, বলতলা, কচুয়া ও শৌলজালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অপ্রত্যাশিত কচুরিপানা ও টেপপানা জাতীয় জলজ আগাছা বিস্তার করায় কয়েক‘শ একর জমিতে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।


এ কচুরিপানা অনেক দিন স্থায়ী হওয়ায় পচে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আমন বীজতলা। পূর্ণিমা-অমাবস্যার জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারি বৃষ্টিপাতসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমনিতেই কৃষকরা চাষে পিছিয়ে রয়েছেন।


মাঠ ভর্তি কচুরি ও টেপপানা জাতীয় আগাছা এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ভাটিতে কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে কচুরিপানা নিষ্কাসনের চেষ্টা করেও মুক্তি মিলছে না। জোয়ারে কোনো কোনো খাল ভেসে এসে পুনরায় কচুরিপানা ওঠে তলিয়ে যাচ্ছে জমি ও আমন বীজ তলা। বীজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে বীজ সংকট।


দক্ষিণ চেচঁরী এলাকার কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, জমিতে কোনো বছর কচুরি পনা হয়নি। এবারই দেখছি জমির এমন অবস্থা। অনেক চেষ্টা করে কচুরি পনা খালে নামিয়ে দেয়ার পর আবার তা জমিতে ওঠে আসে। এ কারণে অনেক জমি খিল পড়ে আছে। এছাড়া এতে অনেক বীজও নষ্ট হয়ে গেছে।


জমাদ্দার হাট এলাকার বরগা চাষি জালাল ফকির জানায়, যেভাবে মাঠে টেপপনা হয়েছে মনে হয় এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো অভিশাপ। দুই বিঘা জমি পরিষ্কার করে বীজ কিনে চারা লাগিয়েছি। এখনো বহু জমি খালী আছে।


কৃষক জলিল খান বলেন, অনেক জমি খিল পড়ে আছে। এছাড়া এতে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মহাজনের জমি ছেড়ে দিয়েছি কচুরিপানার কারণে।



জানা গেছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি কয়েক দিনের অবিরাম ভারি বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বৃদ্ধিতে রাস্তা-ঘাট, খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নদী থেকে কচুরি ও টেপপনা জাতীয় আগাছা ওঠে মাঠ ভরে যায়। পানি কমে যাওয়ায় এরা বিস্তার লাভ করে একরের পর একর ফসলী জমি ছেয়ে গেছে।


স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে কৃষকদের কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা না করায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী কৃষকরা।


কাঁঠালিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম হাওলাদার জানান, কচুরিপানা বা আগাছা নিষ্কাসনের ব্যাপারে কৃষি অফিসের কিছইু করার নেই। তবে ওষুধ দিয়ে পঁচানো যায়, তাতে বীজতলা ও রোপা আমনের ক্ষতি হবে।


বিবার্তা/আমিনুল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com