শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে সিন্ডিকেটেই দুর্ভোগ
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৫
লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে সিন্ডিকেটেই দুর্ভোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ভোলার যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুট। এই রুটে বর্তমানে তিনটি ফেরি চলাচল করে। কিন্তু একটি অসাধু চক্রের সিন্ডিকেটের কারণে ২১ জেলার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটি এখন ভোগান্তির রুট নামে পরিচিত।


অতিরিক্ত আয়ের লোভে ঠিক সময়ে ছাড়া হচ্ছে না ফেরি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট এলাকায় ও লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহনের দীর্ঘসারি। যানবাহনগুলো রাস্তায় দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ঈদে এ সমস্যা মহামারি আকার ধারণ করেছে।


বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, এ সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।


ঘাটের দুর্দশা ও অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘাটে অনিয়ম বন্ধ করে দিলেই সকল অনিয়ম বন্ধ হবে না। আপনার প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগে একজন ফেরি মাস্টার, টিএ কিংবা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে কি অনিয়ম বন্ধ হবে? হবে না। এ অনিয়মের সাথে শুধুমাত্র কোনো এক ব্যক্তি জড়িত নয়। এটি একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে অনিয়ম করে যাচ্ছে।



তিনি আরো বলেন, এই সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে। এটা বন্ধ করতে বললে হয়তো আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে যিনি আসবেন তিনি কি এ অনিয়ম বন্ধ করতে পারবেন?
গত ১৪ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত ঘাটে আটকে থাকা মালবাহী ট্রাকের ড্রাইভার আলাউদ্দিন, ইউসুফ ও রফিকসহ আরো অনেকে জানান, ঘাটের ট্রান্সফার অ্যাসিস্টেন্টকে প্রতি গাড়ির জন্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কাউন্টারে বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়। এছাড়াও নানা অজুহাত দেখিয়ে ফেরি মাস্টার ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরি ঘাটে দাঁড় করিয়ে রাখে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাউন্টারে বুকিং ছাড়া কিছু ছোট যানবাহন ফেরিতে তোলার জন্য এভাবে ফেরি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আবার অনেক সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে।


ট্রাক ড্রাইভারদের অনেকেই বলেছেন, মজুচৌধুরীহাট বাজারের আগে এবং পরে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।


বিআইডব্লিউটিসির ভোলা-মজুচৌধুরীহাট ফেরি ঘাটের ব্যাবস্থাপক মোঃ ইমরান হোসেন মুঠোফোনে জানান, ফেরি ও ফেরিঘাটে একটি অসাধু চক্র রয়েছে। যাদের কারণে এ ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


বিবার্তা/ফরহাদ/জাকিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com