শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৬
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১০:০৩
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৬
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

খাগড়াছড়ি শহরে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসিৎ গ্রুপ ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এই দুই পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।


জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।


পুলিশ ও ইউপিডিএফ সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইউপিডিএফ-সমর্থিত ছাত্রসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, সহসম্পাদক এলটন চাকমা, ইউপিডিএফ-সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য পলাশ চাকমা।


স্থানীয় সূত্র জানায়, বাকি তিনজনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী জিতায়ন চাকমা, রূপম চাকমা ও বিধান চাকমা রয়েছেন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।


খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক (আরএমও) নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, পাঁচজনকে নিহত অবস্থায় এবং চারজনকে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে আনা হয়। আহত আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্য তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ, ডিডিআর ও আর্মি। তাদের উপস্থিতিতেই থেকে থেকে গোলাগুলি হচ্ছে।


এদিকে বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে।


খাগড়াছড়ির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিপু বলেন, খুন, গুম ও অপহরণের বিরুদ্ধে স্বনির্ভর বাজারে আজ ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। সকালে সাড়ে ৭টার দিকে এই দলের কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ের কাছে জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতে দুর্বৃত্তরা চালায়। তারা ইউপিডিএফ কার্যালয় এবং স্থানীয় সিএনজি স্ট্যান্ডে একযোগে হামলা চালায়। এতে ছয়জন নিহত হয়।


আজকের ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেছেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র মাইকেল চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা) এবং ইউপিডিএফ থেকে বের হয়ে যাওয়া সংগঠন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করেন।


তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের সহায়তার এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলের কাছে পুলিশের বক্স। তারপরও সেখানে প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যা করে কীভাবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়?


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com