ঝালকাঠির রাজাপুরে ছোট বড় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে ডিমওয়ালা চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। যার ফলে বিলুপ্তির পথে রয়েছে যেমন চিংড়ি, পুটি, ব্যাদা, পাবদা, বাইলা, টেংড়া, শিং, কৈ, মাগুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
একটি অসাধু চক্র গভীর রাতে উপজেলার ধানসিড়ি, পোনা, জাঙ্গালিয়া নদী ও পাড়ের খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে বিভিন্ন হাট-বাজারে মাছ বিক্রেতাদের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সোমবার রাতে উপজেলার ওই নদীগুলো ও খালে বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষ প্রয়োগের ফলে চিংড়িসহ দেশীয় মাছগুলো নদী ও খালের পাড়ে ভেসে উঠে। দূবৃত্তরা কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ তুলে রাতেই বিক্রি করে দেয়। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকরা রাজাপুর উপজেলা সদরের বাজারে গিয়ে প্রচুর ডিমওয়ালা বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ বিক্রি করতে দেখেন।
মাছ বিক্রেতাদের কাছে মাছের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে তারা কিনে এনে বাজারে বিক্রি করছেন। তবে কারো নাম তারা প্রকাশ করেনি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, শুধু এ মৌসুমে নয় সারা বছরই একইভাবে নদীতে বিষ দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে এবং এদের একটি বড় চক্র রয়েছে। যার ফলে দেশীয় মাছ দিনে দিনে বিলুপ্ত হতে চলেছে। অন্য দিকে নদীর পানিতে বিষ দেয়ায় পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এই পানি ব্যবহার করে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ এর প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ নেই মৎস্য অফিসের।
মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে নদীতে বিষ প্রয়োগ করে দেশীয় মাছ নিধনের সংবাদ আমরা পেয়েছি। কিন্তু কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি।
মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রী জানান, এভাবে মাছ মারা হলে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে দেশীয় সকল প্রজাতির মাছ। ভারতের তৈরি একধরনের বিষমিশ্রিত ট্যাবলেট ও বোতল ভর্তি তরল বিষ প্রয়োগ করে অসাধু চক্রটি মাছ নিধন করছে। এজন্য কঠিন আইন প্রয়োগ করা দরকার।
বিবার্তা/আমিনুল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]