লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ফয়জুল হাসানকে প্রধান করে তার মা-বাবা, ভাই-মামাসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চার্জশিটটি জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাফর ইকবালকে ‘নাস্তিক মনে হওয়ায়’ ফয়জুল একাই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং একাই হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন। বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর হাকিম হরিদাস কুমারের কাছে তিনি নিজে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। হামলার সময় মাদ্রাসাছাত্র ফয়জুল হাসান আটক হয়।
ফয়জুল ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি পাঁচ আসামি হলেন- ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
৩৫৩ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, আটকের পর ফয়জুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৮, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওয়াজ শুনে ও বিভিন্ন পন্থীদের লেখা বই পড়ে জিহাদে প্রভাবিত হন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালান। তবে ফয়জুলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
হামলার দিনই শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেট নগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থিরচিত্র, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মুঠোফোনের কল তালিকা ও অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে পুলিশ ছয়জনকে চিহ্নিত করে।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]