শিরোনাম
তানোরে শিওরক্যাশে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে ভোগান্তি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১৫:৩৬
তানোরে শিওরক্যাশে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে ভোগান্তি
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণের জন্য রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা উপবৃত্তির টাকা তুলতে গিয়ে নানা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অপ্রতুল এজেন্ট ও এজেন্টদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার মত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমনকি টাকা উত্তোলনের সময় এজেন্টরা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।


রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের এই প্রকল্পটির নাম ‘মায়ের হাসি’। এরই অংশ হিসেবে ‘শেখ হাসিনার দীক্ষা মানসম্মত শিক্ষা’ ও ‘রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশে উপবৃত্তি সারাদেশে’ এসব স্লোগানে তানোরে রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ‘শিওরক্যাশ’-এর মাধ্যমে উপজেলার দুই পৌরসভা ও সাত ইউনিয়নের ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই উপবৃত্তি প্রদান করেছে সরকার।


অভিভাবকদের কাছে দ্রুত উপবৃত্তির টাকা পৌঁছানোর এ প্রচেষ্টাটি ইতোমধ্যে প্রশংসিত হলেও এ উপজেলায় শিওরক্যাশ এজেন্টেদের অনেকের ‘অতিলোভী’ মনোভাবের কারণে তৃণমূলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


তানোর পৌর এলাকার কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, শিওরক্যাশের এজেন্টের কাছ থেকে টাকা তুলতে গেলে তারা জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা হারে টাকা কেটে রাখছে। অথচ শিওরক্যাশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এজেন্টদের উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ওপর প্রাপ্ত কমিশন ইতিমধ্যেই প্রদান করেছে।


মঙ্গলবার উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজার, তানোর থানা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানের হাট-বাজারের এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত টাকা কেন নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে একজন এজেন্ট বলেন, অভিভাবকরা খুশি হয়ে ১০/১৫ টাকা দিচ্ছেন, তাই নিচ্ছেন।


উপজেলার একাধিক এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে উপকারভোগীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তাদের অনেক টাকা ইতিমধ্যে মোবাইলে রয়েছে। শিওরক্যাশ কোম্পানি এ টাকা নিয়ে তাদের সময়মতো ক্যাশ টাকা দিচ্ছেন না।


এ নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, শিওরক্যাশের এই সকল সমস্যা দূর না হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের মূল উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে।


এসব বিষয়ে শিওরক্যাশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, কোনো কোনো এজেন্ট টাকা বেশি নেয়ার অপচেষ্টা করছে। এমন অপকর্ম রোধের জন্য আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। প্রত্যেক এজেন্টকে চিঠি দিয়েছি। কোনো কোনো এজেন্টকে বাদ দিয়েছি। কয়েকজন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের এ বিষয়ে তদারকি করার অনুরোধ করেছি।


অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ খাঁন জানান, এসব অনিয়ম-অভিযোগের ব্যাপারে তিনি অবগত নন!


বিবার্তা/অসীম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com