শিরোনাম
শিবচরে চলেছ নদীভাঙন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৫:২০
শিবচরে চলেছ নদীভাঙন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শিবচরের চরজানাজাত এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক এলাকা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।


পদ্মা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চল হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলার চরজানাজাত এলাকাটি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। এর ফলে এই এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে।


আগেই এ এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে এ বছর এই অঞ্চলের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি এখন বিলীন হতে বসেছে। দু’এক দিনের মধ্যে পুরো বিদ্যালয়টি গ্রাস করে নিতে পারে পদ্মা। এ জন্য বিদ্যালয়ের ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।


সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুম এলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন চিত্র অনেকটাই পাল্টে যায়। দিনের বেশিরভাগ সময় নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। শিবচর উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের প্রায় অংশই এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এক সময়ের শত শত জমির মালিকরা আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। অন্য এলাকায় খাজনায় বসতবাড়ি তুলে কোনো রকমে বসবাস করছে।


ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ রাশিদা বেগম জানান, কোনো এক সময় আমার স্বামীর ৪০-৫০ বিঘা জমি ছিল। আজ আমাদের এক বিঘা জমিও নাই। পদ্মা নদী আমাদের সব জমি কেড়ে নিয়েছে। এখন আমরা পরের জমিতে কোনো রকমে ঘর তুলে বসবাস করছি।


চরজানাজাত ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক বেপারী জানান, বর্ষা মৌসুমে এলে আমাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। সারাদিন দুশ্চিন্তায় থাকি এই বুঝি নদী ভাঙনে আমাদের ভিটেমাটি নিয়ে যাবে।


চরজানাজাত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান মাহামুদ জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে খুবই কষ্টের সাথে বলতে হয় চরজানাজাত ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়ার জন্য প্রহর গুনছে। যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় ২/১ দিনের মধ্যে এই বিদ্যালয়টিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ১০০ ফুট দূরে অবস্থান করছে। এ জন্য বিদ্যালয়ের ভবনটি সরানো হচ্ছে।


শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ জানান, যেহেতু নদী ভাঙনে এ অঞ্চলের লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই আমাদের প্রশাসনিকভাবে বিশেষ কিছু উদ্যোগ রয়েছে। পুরো বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে বিভিন্ন রকম সহায়তা করা হয়।


বিবার্তা/রবিউল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com