কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ শিশু অপহরণকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুরের হাবাতগাড়ী ব্রিজের নিচে ও পাহাড়পুর এলাকায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জুয়ার ও নাইম নামে দুই শিশু অপহরণকারী নিহত হয়। তারা মিরপুর উপজেলার আক্কাস আলী ও জহুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি রাম দা উদ্ধার করেছে।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাব্বিরুল ইসলাম ও মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার অপহৃত শিশু দেব দত্তের মৃতদেহ উদ্ধারের পর মিরপুর এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালনো হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সংবাদ আসে শিশু অপহরণের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা মিরপুরের চিথলিয়া ইউনিয়নের হাবাতগাড়ী ব্রিজের নিচে ও পাহাড়পুর এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের দু’টি পৃথক টিম অভিযান চালায়।

তারা জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ একপর্যায়ে জুয়ার ও নাইম নামে দুই সন্ত্রাসী ও শিশু অপহরণকারী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে মিরপুর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা শিশু দেব দত্ত অপহরণকারী। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি রাম দা উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য, গত ০৮ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হলে চিথলিয়া গ্রামের ভেতরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তা থেকে দেব দত্তকে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিন বিকেলে দেব দত্তের বাবা স্কুল শিক্ষক পবিত্র দত্তের ফোনে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দেব দত্ত চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। অবশেষে অপহরণের ১৭ দিন পর সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুরের মালিথাপড়ার পরিত্যক্ত একটি শৌচাগারের ট্যাংকি থেকে অপহৃত শিশুর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিবার্তা/শরীফুল/জহির