শিরোনাম
নওগাঁর বিনোদন কেন্দ্রে এখনো দর্শনার্থীদের ভিড়
প্রকাশ : ২০ জুন ২০১৮, ২১:৫৬
নওগাঁর বিনোদন কেন্দ্রে এখনো দর্শনার্থীদের ভিড়
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নওগাঁর বিভিন্ন বিনোদকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের তিন দিন পর বুধবারও ছিলো মানুষের ভিড়। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।


বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বদলগাছীর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, হলুদ বিহার, ধামইরহাটের জাতীয় উদ্যোন আলতাদিঘী, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত আত্রাইয়ে কাছারি বাড়ী, মান্দার ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ, পত্নীতলায় দিবর দিঘী, সাপাহারের জবই বিল, নিয়ামতপুরের ছাতড়া বিল।


এছাড়া নওগাঁ শহরে অবস্থিত জেলা পরিষদ পার্ক, আব্দুল জলিল শিশু পার্ক, দিঘলীর বিল, ডানা পার্ক, বলিহার রাজবাড়ি, দূবলহাটি রাজবাড়ি উলে­খযোগ্য।


শিশু-কিশোররা মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন মিলে ঘুরে ঘুরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন। এসব দর্শনীয় স্থানে পার্শবর্তী জেলা জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসু মানুষ।


ঈদের দিন বিকেল থেকে নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন আব্দুল জলিল শিশু পার্কে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে যান শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড় সংলগ্ন জেলা পরিষদ পার্কে। শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট যমুনা নদীর তীরে নির্মল বাতাস ও বিনোদনের জন্য অনেকে ভিড় জমান। সন্ধ্যার পর নদীর দুই ধারের আলোকসজ্জা মানুষের আনন্দ যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।


জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান মান্দার ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। ভ্রমণপিপাসুরা বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাচীন এই মসজিদটি ঘুরে দেখেন।



দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আগামীর প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করে তুলতে ও নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে ছুটে আসেন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। ঈদের দিন থেকে বিভিন্ন জেলার নানা বয়সী মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। সাধারণত বছরের অন্যান্য সময় এখানে যত পর্যটক আসেন, ঈদের ছুটিতে কয়েকগুণ বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। তবে পাহাড়পুরে আসার একমাত্র রান্তা বদলগাছী-জয়পুরহাট রাস্তার বেহাল দশার কারনে আগত দর্শনাথীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।


নওগাঁ বদলগাছী হতে নব দম্পতি জুয়েল ও তিশা আত্মীয়ের বাড়িতে এসে পরিবারসহ বেড়াতে আসছেন আব্দুল জলিল শিশু পার্কে।


তিনি বলেন, কোম্পানিতে চাকরি করি। সারা বছরই বাহিরের জেলায় থাকতে হয়। বেড়ানোর তেমন সুযোগ পাওয়া যায় না। এজন্য পরিবার নিয়ে এখানে এসে খুব আনন্দ উপভোগ করলাম। শিশুদের বিনোদনের জন্য নওগাঁতে এই একটি মাত্র জায়গা। টিকিট কাউন্টারে প্রচুর ভিড়। অপেক্ষার পরে টিকিট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ। পার্কের মধ্যে রাইডগুলোতে চড়ে ছোট ছোট বাচ্চারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে। এটাই বড় পাওয়ায়।


মাইক্রোবাস ভাড়া করে জয়পুরহাট হতে বন্ধুরা মিলে পাহারপুর বৌদ্ধবিহারে এসেছেন সাজ্জাদ হোসেন।


তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে সব বন্ধুরা একত্রিত হয়ে একটু বিনোদনের জন্য এখানে এসেছি। পাহাড়পুরে আসার পথে রাস্তায় ভাঙ্গাচোরা আর খানাখন্দে ভরা যে অবস্থা ও ঝাকুনি তা বলে প্রকাশ করার মতো না। তারপর দর্শনীস্থানটি দেখে সবকিছু ভুলে গেছি। মোট কথা বন্ধুরা মিলে খুব আনন্দ করেছি। তবে ভিতরে কিছু টয়লেটের প্রয়োজন।



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান সাদেকুজ্জামান বলেন, ঈদ উপলক্ষে এ ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিত ছিল। গত দুইদিনে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। আগামী কয়েকদিনও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে।


বিবার্তা/নয়ন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com