গত চারদিনের টানা বর্ষণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় কমপক্ষে ১৯০ রোহিঙ্গা বসতি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া গাছ চাপায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুর জানান, প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হওয়ায় পাহাড় ধসে মঙ্গলবার ৮০টি রোহিঙ্গা বসতি ভেঙে গেছে এবং ৩৫টি ঘরে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকেছে। এসব রোহিঙ্গা পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে গত সোমবার ৭৫টি বাড়িঘর ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তেলিপাড়া এলাকায় গাছ চাপায় রোহিঙ্গা এক যুবক মারা গেছেন। তার নাম মোহাম্মদ আলী (২০)। তিনি জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হোসেন আহমদের ছেলে।
উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাকসুদুল আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে উখিয়ায় ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ঝড়ো হাওয়ার গাছচাপা পড়ে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, উপকূলীয় এলাকা মোহাম্মদ শফির বিল সৈকত থেকে ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, উখিয়ার ইনানী সৈকত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন সৈকত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, গত রবিবার ভোরে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৬টি ট্রলার ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ১৬ জন নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা মরদেহটি নিখোঁজ জেলেদের কারো হবে।
মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য বেতার বার্তা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে।
বিবার্তা/মানিক/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]