ইজারাদারের প্রভাবে লক্ষ্মীপুর থেকে বরিশালের একমাত্র সি-ট্রাক খিজির-৮ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
লক্ষ্মীপুর-বরিশালের জন্য নির্ধারিত সরকারি একমাত্র সি-ট্রাক খিজির-৮। এটির ওপর হাজার-হাজার যাত্রীর ভরসা। কিন্তু ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় শর্ত ভঙ্গ করে তার ইচ্ছেমতো চালাচ্ছেন সি-ট্রাকটি। বরিশাল গন্তব্য বন্ধ রেখে চালু রাখা হয়েছে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলার ইলিশা ঘাট পর্যন্ত।
ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নেই নির্ধারিত সি-ট্রাকটিও। এ পরিস্থিতিতে ওই রুটে চলাচলকারীদের যেন দুর্ভোগের অন্ত নেই। ঈদ যতোই এগিয়ে আসছে, দুর্ভোগের চিত্রটা ততোই বাড়ছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার হাজার-হাজার যাত্রী সি-ট্রাক সেবা না পেয়ে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিসির যোগসাজশে লক্ষ্মীপুর থেকে বরিশাল সি-ট্রাক সার্ভিসটি বন্ধ রাখার এমন ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যক্তি মালিকানা এমভি পারিজাত নামে একটি লঞ্চে করে হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
জানা গেছে, ভোলার বাসিন্দা স্থানীয় প্রভাবশালী আক্তার হোসেন লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল সি-ট্রাক খিজির-৮ ইজারা নেন। কিন্তু ইজারাদার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের সুবিধামতো লক্ষ্মীপুর-ইলিশায় এ সার্ভিসটি চালু করেন। যে কারণে হাজার হাজার যাত্রী সি-ট্রাক সেবা না পেয়ে সময় মতো বরিশাল যেতে পারছেন না। এতে প্রতিদিনই বরিশালের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে দুর্ভোগে পড়া বরিশাল গামী এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, এ পথে আসাটাই পাপ। সি-ট্রাক নেই। দিনে একটি মাত্র লঞ্চ দুপুর ১২টার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দিনে কিংবা রাতে আর অন্য কোনো লঞ্চ না থাকায় নদীর পাড়েই অনেক যাত্রীকে রাত কাটাতে হয়।
বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র আকরামুল হায়দার বলেন, মেঘনা নদীর এ রুটটি বিপদজনক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সি-ট্রাক না থাকায় ব্যক্তিমালিকানা লঞ্চে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। নির্ধারিত সি-ট্রাকটি চালু হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগব হবে।
ইজারাদার আক্তার হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকে অবৈধভাবে নৌকা ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যে কারণে সি-ট্রাকের যাত্রী কম। এছাড়াও বরিশাল পর্যন্ত পৌঁছাতে খিজির-৮ সি-ট্রাকটি উপযোগী না হওয়ায় সার্ভিসটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ফেরি সার্ভিস রুটের মজুচৌধুরীর হাট ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সিহাব উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে ইজারাদারকে বলা হয়েছে। তবুও যদি লক্ষ্মীপুর থেকে বরিশাল সি-ট্রাক চালু না করা হয় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিবার্তা/সুমন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]