গ্রীষ্মকালে তীব্র গরম, তার সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও স্বাভাবিক নেই বিদ্যুৎ। সকাল, দুপুর, বিকাল বা রাত, ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মানা হচ্ছে না পবিত্র মাসের বিশেষ মূহুর্তগুলোকেও।
পল্লী বিদ্যুতের নন্দীগ্রাম এরিয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে, গ্রিডে লোড বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। তবে ক্ষণিকের জন্য।
গ্রাহকেরা জানান, এমনিতেই গ্রীষ্মকাল। তীব্র গরম, তার উপরে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
উপজেলার বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ের শিকার মুসল্লিরা রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, রমজানের শুরু থেকেই বেড়ে গেছে লোডশেডিং। হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহককে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। লোডশেডিংয়ের ফলে যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মুসল্লিরা, তেমনি লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।
অপরদিকে, প্রচণ্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। সেহরির জন্য রাতে রোজাদারেরা ঘুম ভাঙাতে মসজিদের মাইকে ডাকাডাকি করেন মোয়াজ্জেম সাহেব। বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে সেটাও বন্ধ থাকে। অনেক সময় ইফতার ও সেহরি খেতে হচ্ছে অন্ধকারে। রমজান মাসের শুরু থেকেই ভ্যাপসা গরমে চরম আকার ধারণ করেছে।
এপ্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের নন্দীগ্রাম এরিয়ার এজিএম রেজাউল করিম বলেন, লাইন ও গ্রিডে ত্রুটির করণেই ক্ষণিকের লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/নজরুল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]