কর্ণফুলী উপজেলার এক জাপা নেতাকে প্রতারণামূলক মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী আদালতের সেফ হোমে আটক রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রোহিঙ্গা নারী শরীফা বেগম প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধর্ষণের মামলা করেছেন বলে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা যায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফির আদালতে শরীফা বেগম ২২ ধারায় এ জবানবন্দি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বাদি স্বীকার করে নেন ‘কিছু লোক’ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করিয়েছেন এবং যারা মিথ্যা মামলা করিয়েছে তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলবে বলেও জানান। পরে আদালত স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে সেই নারীকে সেফ হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি শরীফা বেগম (২৬) মামলায় তার বাবার নাম লাল মোহাম্মদ ও মায়ের নাম মোস্তফা বেগম এবং ঠিকানা হিসেবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের ডেইলপাড়া উল্লেখ করলেও ঠিকানাটি ভুয়া বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলা দায়েরের পর শরীফার দেয়া তথ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে সবকিছু স্বীকার করে। শরীফা ১০ বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে। যা আদালতে ও রেকর্ড হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলায় আসামি করা হয়েছে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের জাপা নেতা নুরুচ্ছফা ফেরদৌস (৫০) ও মো. বোরহান (৪৫) নামের দেওয়ান হাট এলাকার এক ব্যক্তিকে। তারা ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ রয়েছে এজাহারে।
এমনকি গত ১৪ মে রাতে দেওয়ান হাট এলাকার রেললাইনের পার্শ্ববর্তী স্থানে নুরুচ্ছফা ফেরদৌস ও মো. বোরহান ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন শরীফা। পরে ১৫ মে দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন শরীফা। যা সম্পূর্ণ ভুয়া, মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবি আসামি পক্ষের।
মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি মুঠোফোনে জানান, মামলাটি মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. আব্দুল হামিদ মিয়া চৌধুরী নামে এক মামলাবাজ প্রতারণা করিয়েছেন।
যিনি নিজেকে একেক সময় একক জায়গার পরিচয় দেন। জায়গা বিক্রির সময় শিকলবাহা এলাকা, মামলা করার সময় বাকোলিয়া, পরে চাডিয়া পাড়া কর্ণফুলীর স্থায়ী বাসিন্দা বলেও পরিচয় দেয় বলে অভিযোগ করেছেন।
এতে খুনী বেলাল নামে আরো একজন জড়িত মর্মে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা নারীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা সাজিয়েছেন বলে আসামির অভিযোগ।
মামলার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা জহির হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/জাহেদ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]