ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে পৃথক দুই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই আসামি নিহত হয়েছে। সদর উপজেলার পরানগঞ্জ সড়ক ও সানকিপাড়ায় শুক্রবার দিবাগত রাতে দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে নিহত আলমগীর হোসেন (২৪) কৃষক আবুল কাশেম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। আর সিরাজুল ইসলামকে (২৩) এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান বলেন, সদর উপজেলায় কৃষক আবুল কাশেম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আলমগীরকে শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে নিয়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে গেলে রাত ৩টার দিকে জয়বাংলা বাজার থেকে পরানগঞ্জগামী সড়কের কাছে পৌঁছালে পলাতক আসামি সিদ্দিকসহ ৮-১০ জন পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে।
তিনি বলেন, পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে আলমগীর কৌশলে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ সময় পুলিশ সদস্য আতিক, রজব ও নাজমুল আহত হলে তাদের ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওসি আশিকুর বলেন, শহরের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে জিলা স্কুলের গণিতের শিক্ষক মোবারক মোর্শেদ মিল্কিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী সিরাজুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে সিরাজুলকে নিয়ে অন্যদের গ্রেফতারে সানকিপাড়ার এসএ সরকার রোড এলাকায় অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সিরাজুলের সহযোগীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে সিরাজুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/শাহনাজ/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]