নাটোরের বড়াইগ্রামে ৯ বছর বয়সী কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে বাবা-মা বার বার অভিযোগ করলেও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার রায়।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলছেন না তিনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের বাইরে কারো সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন না।
বড়াইগ্রাম উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন শিশুটির শিক্ষক ও অভিভাবকরা। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করার পর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটি মানসিক রোগী এবং সে ধর্ষিত হয়নি!
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেদনটি নাকচ করেছেন শিক্ষকেরাও। মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, শিশুটি মানসিক রোগী নয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের ঘটনার সময় মেয়েটির পরিহিত পোশাক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে পুলিশ।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন, ঢাকার রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন তারা।
এদিকে ধর্ষণের দায়ে পুলিশ মাহবুবকে আটক করলেও সে জামিনে মুক্তি পেয়ে শিশুটির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাহবুবের বাবা চাঁন প্রামাণিক বলেছেন, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফলে সেদিন কী ঘটেছিল তা জানেন না তিনি।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুায়ারি দুপুরে প্রতিবেশী মাহবুর রহমান (১৬) সাইকেল চালানোর কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অসুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলে মাকে সব খুলে বলে সে।
তখনই তাকে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে পরের দিন চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
কিন্তু প্রতিবেদনে তারিখ দেখানো হয় ২৪ জানুয়ারি। মেয়েটিকে মানসিক রোগী আখ্যা দিয়ে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করা হয় তাতে।
বিবার্তা/সাকলাইন/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]