পাংশা পৌরবাসীর ভোগান্তি চরমে, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৭
পাংশা পৌরবাসীর ভোগান্তি চরমে, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা। প্রায় অর্ধ লক্ষ জনঅধ্যুষিত পাংশা পৌরসভাটি ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণীতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু পৌরবাসীর ঘাড়ে নিয়মিত করের বোঝা চাপালেও সেই তুলনায় বাড়েনি কোন নাগরিক সুবিধা।


সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়,ছোট বড় খানাখন্দে ভরা সড়ক। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তা। অনেক স্থানে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে পানি। কোন কোন স্থানে বছরের অর্ধেক সময় জমে থাকে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি। ফলে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ পানি বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকায় নেই পানির লাইন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা।এছাড়াও ৫০ ভাগ সড়কের সংস্কারের কাজ হয়নি দীর্ঘদিন।


পৌরসভার বাসিন্দা আকাশ অধিকার বলেন, পাংশা পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যা আছে তার বেশিরভাগই অচল, ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না। শহরের ভেতর ড্রেনের উপর ঢাকনা নেই। দীর্ঘদিনেও কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় আমরা প্রচন্ড ভোগান্তিতে আছি।


পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সানজিদা খাতুন বলেন, আমাদের এলাকায় ড্রেন নাই।পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানির লাইন ও নাই। অথচ আমরা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় বস করি। আমার উঠানে পানি। ঘরে ঢুকতে হাঁটু পানি পাড়ি দিতে হচ্ছে। আমার ছোট ছেলে বারবার বলে কবে আম্মু পানি কমবে, আমি বাইরে খেলতে যাবো!বছরের প্রায় ছয় মাস এরকম পানিবন্দি থাকি আমরা।


পৌরসভার বাসিন্দা তাইজাল বলেন, পৌরসভা কি করে পৌরবাসীর ভোগান্তি দূর করবে! একটু বৃষ্টি হলে পৌরসভার মধ্যেই তো হাঁটু পানি হয়ে থাকে। যেখানে পৌরসভার ভেতরের পানি নিষ্কাশন এরই ব্যবস্থা নাই! সেখানে পৌরসভা বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা কি করে নিরসন করবে?


ভ্যান চালক কাদের বলেন, শহরের সব রাস্তায় ভাঙ্গা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। খানাখন্দে ভ্যানে চাক পরে প্রতিদিনই ভ্যান নষ্ট হচ্ছে।


পৌরবাসীর বেহাল দশার কথা স্বীকার করে পাংশা পৌরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক ও পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা জানান, ইতিমধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সড়ক সংস্কারে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, পাংশা পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর হলেও এখানে নির্বাহী প্রকৌশলী ছিল না। ইতিমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদান করেছে। খুব তাড়াতাড়ি বড় প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরবাসীর ভোগান্তি কমাতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা হবে।


তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমি পৌরসভার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানের চারপাশে বাউন্ডারি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতে করে ময়লার স্তূপ রাস্তার উপর চলে আসবে না, স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে না।


বিবার্তা/মিঠুন/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com