
গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করব, যাতে নিরীহ কোনো ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয়—সে বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নজর থাকবে।”
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সহিংসতার ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবন ব্যাহত না হয়, সেদিকেও আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব।”
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। তাঁরা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং ক্ষয়ক্ষতির খোঁজখবর নেন। পরে তাঁরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখেন, যার মধ্যে ছিল ‘জুলাই শহীদদের’ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকা, এনসিপির পূর্ব নির্ধারিত সভাস্থল পৌর পার্ক ও আশপাশের এলাকা।
এই পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, তানিয়া জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান এবং সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং ভবিষ্যৎ সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করে তা দ্রুত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে।
বিবার্তা/শান্ত/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]