পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫০) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বরের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক। তার মেজো ভাই মনিরুজ্জামান সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহত শহিদুল ইসলামের বড় ভাই মর্তুজা হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় ৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত শহিদুল ইসলামের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার তোহা জানান, রাত ১১টার পর আমার বাবা ফকিরহাট বাজার থেকে এসে আমাদের ঘরের সামনের পুকুরঘাটে বসেছিল। এ সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ইউনুস শেখ তার লোকজন নিয়ে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। চিৎকার শুনে আমার মা ও চাচী বের হলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এর মধ্যে কাকী মারা যায়, মাকে উদ্ধার করে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু তার অবস্থাও ভাল না থাকায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ইউনুসের স্ত্রীর সঙ্গে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ ছিল। এ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি শহিদুল ইসলাম কে কুপিয়ে হত্যার পরে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, পরকীয়ার জেরে প্রবাসী ইউনুস শেখ ও তার সহযোগীরা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনুস শেখের বড় ভাই রফিকুল ইসলামকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিবার্তা/এসএস