
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত চট্টগ্রামের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় তার। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত আকবর ও সরোয়ার।
এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন আকবর। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দর্শনার্থী জান্নাতুল বাকী (৩০) ও শিশু মহিম ইসলাম রাতুল (৮)।
ঘটনাস্থলের কাছে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকাইয়া আকবর, একজন তরুণী এবং অন্য চারজন ছেলেসহ মোট ছয়-সাতজন ২৮ নম্বর দোকানে বসেছিলেন। দোকানের এক ছেলে তারা কী অর্ডার করবেন জিজ্ঞেস করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে একজন আকবর নামে ওই যুবককে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকেন। এ সময় আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবু তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
কারাগারে আটক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে নিয়ে কটূক্তি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রায়ই ভিডিও দিতেন আকবর। পাশাপাশি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাও আকবরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে নানা ভিডিও দিতেন।
অন্যদিকে গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার হন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। এরপর ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এতে দুজন নিহত হন। তবে বেঁচে যান কারে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার এক আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়াসহ পাঁচ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সরোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]