
প্রতি বছরই কুরবানির ঈদের পশুর বাজারগুলো জমজমাট হয়ে উঠে অন্তত ২০-১৫ দিন আগে থেকেই। সেই অনুযায়ী এবারও কুরবানির পশু বিক্রি করতে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন সরাইল উপজেলার খামারি ও গৃহস্থরা। উপজেলা প্রশাসনও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যৌথভাবে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পরিবহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
স্টেরয়েড ও হরমোনমুক্ত পশু নিশ্চিত করতে খামারিদের প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছর সরাইলে গবাদি পশুর ৯টি ইউনিয়নের মোট ১২ শত ৭৫জন এসব খামারে কুরবানির জন্য ২২ হাজার ৬৭৩টি পশু লালন -পালন করা হচ্ছে।
সরজমিন সরাইল পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে অনেক গরু-মহিষ রয়েছে। কিন্তু তেমন বিক্রি নেই বললেই চলে। কথা বলে জানা গেছে গরু ব্যবসায়িদের কষ্টের কথা। খামারিরা জানায়, প্রতি বছর ১৫/২০দিন আগে থেকে পছন্দের গরু কিনে রাখলেও এবার তেমন ক্রেতা মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
অধিকাংশ খামারি চলমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের নিকট প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন। খামারটিতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের যে পরিস্থিতি যদি ভারত হতে গরু না আসে তাহলে লাভবান হবেন। হাটের একাধিক খামারির সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনছুর আহমেদ বলেন, এই বছর কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু সরাইলে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন খামারে গিয়ে খামারিদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়াও সরকারি ইজারাকৃত পশুর হাট গুলোতে আমাদের মোবাইল ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়ন করবেন। সুস্থ পশু চেনা এবং কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সহায়তা করবেন।
উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আরও পশু থাকবে বলে আশাকরি ।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]