
অনলাইনে স্লট বুকিং চালু হওয়ায় একদিন বন্ধের পরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই দিন থেকে পেঁয়াজ ও আলু বন্ধ থাকার পরে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টার পরে ৫ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর দুপুরের পরে আলু আমদানি শুরু হয়।
২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ও আলু আমদানি অব্যাহত থাকার ফলে এক দিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের। তবে আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি বাজারে খরচ করতে আসা সোলাইমান আলী বলেন, একদিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছু কমেছে। তবে আরও কমলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়। আজ ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে কিনলাম ৬৫-৭০ টাকা কেজি। অথচ এই পেঁয়াজ একদিন আগে মানভেদে ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ও আলু বিক্রেতা মো. মঈনুল হোসেন বলেন, দুই দিন বন্ধের পরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ও আলু আমদানির খবরে আজ ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দুই দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা বিক্রি করলেও আজ সেই পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি করছি। তবে ভারতীয় প্রতি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে স্লট বুকিং চালু করায় বুধবার ২৭ নভেম্বর সকাল থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় এবং দুপুরের পর থেকে বন্দর দিয়ে ভারত আলু আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় তিনশত ট্রাক অনলাইনে স্লট বুকিং দেওয়া আছে এরপর কি হবে বলা যাচ্ছে না। তবে এখনো আলু আমদানি হয়নি। পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমবে বলে আশা করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, বুধবার ভারতীয় ৬১ ট্রাকে ১ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন আলু এবং ৪১ ট্রাকে ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
বিবার্তা/রব্বানী/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]