
কুড়িগ্রামের চিলমারীর নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আশিকুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে।
মামলার পর থেকে এ ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে সেবার কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
এদিকে, গ্রেফতার আতঙ্কে থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মনরুজুল ইসলাম মন্জু কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিন ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকরা।
নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর নুরুন্নবী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ গত ১ জুলাই থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে পরিষদের নাগরিকত্ব ও ওয়ারিশ সনদসহ জনসেবার সাধারণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, তিনিসহ পরিষদের আরো ৩ সদস্য চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আশিকুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬’শ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহারভুক্ত ৩০ নং আসামি করা হয়েছে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে।
স্থানীয়রা জানান, পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় নাগরিকরা ওয়ারিশ সনদ, জন্ম ও মৃত্যুসনদসহ সংশোধিত জন্মনিবন্ধন পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন এক সপ্তাহে থেকে অফিসে আসছেন না। প্যানেল চেয়ারম্যানও আসে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নঈম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা আসলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/রাফি/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]