কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চরাঞ্চলের একটি ইউনিয়নে ভূমি অফিস তিন বছর আগে উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত সেবা নিতে পারেনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে অফিসটি৷ শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসলেই তহশিলদারকে অফিসে যেতে দেখা যায়।

স্থায়ী এই অফিস ভূমি সেবা না দিয়ে নদী পথে প্রায় ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে উপজেলা পরিষদে এসে অস্থায়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিতে হয় সেবা। এতে করে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন চর অঞ্চলের কৃষকদের।

উপজেলার চিলমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চিত্র এটি। ইউনিয়ন পরিষদে তিন বছর আগে উদ্বোধন হয় ভূমি অফিসটি। তবে এখনো রয়েছে তালাবদ্ধ। ২০২১ সালে তৎকালীন সরকার প্রধান এই ভূমি অফিসটি উদ্বোধন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা উপজেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন চিলমারী ইউনিয়নটি। যাতায়াতের মাধ্যম একমাত্র নৌকা। ইউনিয়নটির আয়তন ৬৬.৫৪ বর্গকিমি (২৫.৬৯ বর্গমাইল), রয়েছে ১০ টি মৌজায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক। এই ইউনিয়নের প্রায় সকলেই কৃষি কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা না দেওয়ায় ওই ইউনিয়নের সেবাগ্রহীতাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন বছরের শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসলেই তালা খুলে বসেন তহশিলদার। এছাড়া অফিস আসেন না তিনি। জমির খাজনা খারিজ করতে নদীপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সদরে।

কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ভূমি অফিস তৈরি করে দিলেও কাজে লাগছে না।সবসময় এই ভূমি অফিস তালাবদ্ধ থাকে, ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত এই ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার কৃষক।

জালাল নামে অপর এক কৃষক বলেন, জেলা থেকে যেদিন বড় অফিসার আসে, সেদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিস খোলা থাকে তবে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। থানাহাট গিয়ে আমাদের জমাজমির কাগজপত্র ঠিক করতে হয়, ঘুরতে হয় দিনের পরদিন।

চিলমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) জগদীশ চন্দ্র বলেন, আমি নতুন এসেছি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন জানান, আমি ওই ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। সপ্তাহে হাটের দিন করে উপজেলায় কাজ করবেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। আর অন্যদিন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কার্যক্রম চলবে।

বিবার্তা/রাফি/জেএইচ