
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ আসার পথে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় ভারতীয় ট্রাককেই এসব কাঁচা পণ্য পচন ধরতে শুরু করে। আর বন্দরের ভিতর ট্রাক থেকে এসব পচা পেঁয়াজ আড়তে নিয়ে এসে শ্রমিক দিয়ে বাছাই করে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব নিম্নমানের পেঁয়াজ।
আবার নিন্মমানের এসব পেঁয়াজ কখনো ১৫০- ২০০ টাকা বস্তা ও বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত ভালো মানের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বন্দর এলাকায় ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বুধবার (৩০ অক্টোবর) বন্দর এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।
৩০ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দরের সিপি মোড়ে অবস্থিত একটি পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়।
হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক জন ক্রেতা বলেন, আমি হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসছি। এসে ১৫০ টাকায় এক বস্তা পেঁয়াজ কিনলাম একটু পচা তবে এসব বাড়িতে গিয়ে বাছাই করতে হবে। বাছাই করে খাওয়ার জন্য বের হবে কিছু।
হিলি টু ইসমাইলপুর রোডে যাওয়ার পথে চোখে পড়ে ভ্যান চালাক রোস্তম আলী আড়ত থেকে ভারতীয় পচা পেঁয়াজ কিনে নিয়ে এসে রাস্তার পাশে বসে বস্তা থেকে ভালো পেঁয়াজ বাছাই করছে।
তিনি বলেন, হিলি আড়ত থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে আধা ভালো এক বস্তা পেঁয়াজ কিনেছি। এখন ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে গ্রামে ভ্যানে করে বিক্রি করবো। কারণ এখন তো পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি।
হিলি বন্দরের পেঁয়াজের আড়তদার হেলাল হোসেন বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসতে প্রায় সাত থেকে আট দিন সময় লাগে আর এ সময়ের ভিতরে রোদ, ঝড়, বৃষ্টির কবলে পড়তে হয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলোকে। এবার কিছু পেঁয়াজের ট্রাক বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় সেই পেঁয়াজগুলো পঁচে গেছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বন্দর থেকে পানিতে ভিজা এসব পেঁয়াজ আড়তে এনে শ্রমিক দিয়ে বাছাই করে নিম্নমানের ৫০ কেজি ওজনের পেঁয়াজের বস্তা ১৫০ টাকা আর তার থেকে একটু ভালো মানেরটা ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতেছি।
বিবার্তা/রববানী/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]