খানসামায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বঞ্চিত ১৮৬ সুবিধাভোগী
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৪৭
খানসামায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বঞ্চিত ১৮৬ সুবিধাভোগী
খানসামা, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় চাল না পেয়ে খালি হাতে ফেরত গেছেন ১৮৬ জন কার্ডধারী সুবিধাভোগী। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী তার উপর এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাল বঞ্চিত এসব সুবিধাভোগীরা। তবে উপজেলা খাদ্য বিভাগের দাবি অনলাইনে সমস্যার কারণে তাদের নাম চলতি মাসের মাস্টাররোল থেকে বাদ পড়ে গেছে।


২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ৩ নং আংগারপাড়া ও ৬ নং গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।


এ সময় কিছু কার্ডধারী চাল নিতে এসে মাস্টাররোলে নাম না পেয়ে খালি হাতে ফেরত যায়। যাদের এই মাসের মাস্টাররোলে নাম নেই, তাদের কার্ডের ফটোকপি জমা নিচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।


জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল ভর্তুকির মাধ্যমে প্রদান করা হয়।


উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৮৮৭৭ জন সুবিধাভোগী চাল পেলেও চলতি মাসে চাল পেয়েছেন ৮৬৯১ জন। এর মধ্যে আলোকঝাড়ী ইউনিয়নে ১২ জন, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নে ৩ জন, আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে ৩৬ জন, খামারপাড়া ইউনিয়নে ৪১ জন, ভাবকী ইউনিয়নে ৪৩ জন ও গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৫১ জন সুবিধাভোগী এবার চাল পাননি।


আংগারপাড়া ইউনিয়নের কার্ডধারী নারায়ণ রায় বলেন, আমার দরিদ্র পরিবার। ১৫ টাকা দামে ৩০ কেজি চাল পেয়ে সংসারের অনেক উপকার হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে এই মাসে চাল তুলতে গিয়ে শুনি আমার নাম নেই। এতে অর্থনৈতিক ভাবে কষ্টে পড়তে হবে।


গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, গত মাসে চাল পেলেও এই মাসে চাল নিতে এসে অনেকে ফেরত চাচ্ছে। এতেই তারা ক্ষুব্ধ হচ্ছে। তবে যারা ফেরত যাচ্ছে তাদের কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে উপজেলা খাদ্য বিভাগের সাথে তাদের বিষয়ে কথা বলা হবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাসুদ রানা বলেন, অনলাইনে সমস্যার কারণে কিছু কার্ডধারী চলতি মাসে চাল পাননি। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে দ্রুত যেন এই সমস্যা সমাধান হয়।


তিনি আরও বলেন, আগামীতে যেন এমন সমস্যা না হয়, সেই জন্য উপজেলা খাদ্য বিভাগ আমরা সজাগ ও তৎপর আছি।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাজ উদ্দিন বলেন, চাল না পেয়ে কার্ডধারী ব্যক্তির ফেরত যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বিবার্তা/জামান/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com