গোবিন্দগঞ্জে কোচাশহর বাজারের সড়কের বেহাল দশা
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:২২
গোবিন্দগঞ্জে কোচাশহর বাজারের সড়কের বেহাল দশা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর বাজার এলাকার বেহাল দশার দীর্ঘ দিনেও কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এলজিইডির এই সড়কটি সংস্কার আর মেরামতের নামে বার বার অর্থ ব্যয় করেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। সড়কের তুলনায় পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি উঁচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এক দিন বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকছে দীর্ঘ দিন।


এদিকে পানি জমে থাকায় পাকা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারীরা। একই অবস্থা গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার সামনের এলাকা। এখানে প্রায় ২ মিটারে পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়ে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাবিস ও ইটের আদলা ফেলে দুরবস্থা কাটানোর চেষ্টা করে হালকা যানবাহনের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, মহিমাগঞ্জ-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে গোবিন্দগঞ্জ থেকে মহিমাগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে মাঝে মধ্যেই মেরামত ও সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু কোচাশহর বাজার এলাকার প্রায় সাড়ে ৫শ মিটার সড়কের দুরবস্থা লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে কাদাপানির মধ্যে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই স্থান দুটিতে হাঁটু পানি জমে যায়।


আবার পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি ড্রেনের ময়লা পানি চলে আসায় দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এই পথে যারা হেঁটে মোটরসাইকেল অথবা বাইসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেন, তাদেরকে মাঝে মধ্যেই কাদামাখা শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। পাশাপাশি পানিতে ডুবে যানবাহনের যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই সড়কে চলাচলকারীদের অভিযোগ কোচাশহর বাজারের বাসা-বাড়ি ও দোকানগুলি রাস্তার চেয়ে তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় এবং রাস্তার পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে বৃষ্টি এবং বাসাবাড়ির পানি জমে থাকে। এতে করে গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা কোচা শহরের বাজার এলাকা অতিক্রম করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও পৌর ভবনের সামনে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে।


উপজেলার কোচাশহরের শামীম মিয়া বলেন, কোচাশহর বাজার এলাকার এই দুরাবস্থার কারণে হোসিয়ারী শিল্পের মালামাল ক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ী কমে গেছে। আগামী শীত মৌসুম আসার আগেই সড়কের স্থায়ী সংস্কার করা প্রয়োজন।


কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান মো: জহুরুল হক জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, কোচাশহর বাজার এলাকার এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি করেও আশ্বাস ছাড়া কোন ফলাফল পাচ্ছি না।


কোচাশহর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপন বলেন, সড়কে পানি জমে থাকায় কোথায় গর্ত আছে বলা যায় না। যে কারণে রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকরা এই সড়কে চলাচল করতে নিয়ে কাদা পানিতে এসব যান বাহন উল্টে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত স্থান গুলি মেরামতের দাবি জানাই।


এলজিইডির গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।সড়কের দুরবস্থা কাটাতে আরসিসি’র মাধ্যমে কোচাশহর ও পৌরসভার সামনে প্রায় ৭ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনীয় স্থানে ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা থাকবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সড়কের দুই পাশে উঁচু হওয়ার কারণে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা কেটে যাবে।


বিবার্তা/খালেক/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com