
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশচন্দ্র রায়ের বক্তব্যের পর। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তাকে জোর করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির পদে বসানো হয়েছে।
১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কমলেশ বলেন, ‘আমি নিজে কখনো এই সংগঠনের সভাপতি হতে চাইনি। আমার সহকর্মী মশিউর জোর করে আমাকে এ পদে বসিয়েছিল এবং সব কার্যক্রমও নিজেই পরিচালনা করত। আমাকে শুধু উপস্থিত থাকতে বলেছিল। সংগঠনের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না, কেন্দ্র থেকেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও জানান, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এবং তার ছাত্রজীবনেও রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। ২০১১ সালে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দীর্ঘ এক দশক শিক্ষকতা করেছেন।
ড. কমলেশ উল্লেখ করেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে বসে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছিল। সেদিনই আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তিনি আশাবাদী।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় ১২ অক্টোবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতির সময়। মঞ্চে ড. কমলেশ ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা তীব্র আপত্তি জানায়।
তাদের অভিযোগ, এই দুই শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমন-পীড়নের উসকানিদাতা ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনার পর নাহিদ ইসলাম নিজের সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করেন।
বিবার্তা/সোলাইমান/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]