গৌরীপুরে দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৩
গৌরীপুরে দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের গৌরীপুর মইলাকান্দা ইউনিয়নের নামাপাড়া কেরামতিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাদ্রাসার দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ।


১ অক্টোবর, মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসার সুপার মাকসুদুল জাহান মো. নুহু মিয়া মাদ্রাসার প্রতিবন্ধী ভাতা পঞ্চাশ হাজার ও শিক্ষকদের টিউশান ফি বাবদ ছাপান্ন হাজার ছয় শত দশ টাকা অগ্রণী ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার পুরাতন বই বিক্রির ছৌত্রিশ হাজার টাকাসহ মোট এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে।


অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রণোদনার সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রাম SEDP আওতাভূক্ত P.B.G.S.I স্কিমের প্রণোদনা বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়ে অগ্রণী ব্যাংক ময়মনসিংহ শাখার মাদ্রাসার ০২০০০০১০২৭৮ হিসাবে জমা হয়েছে।


মাদ্রাসায় কোন প্রতিবন্ধী ছাত্রী না থাকলেও উক্ত বরাদ্দকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করেন সুপার ও কমিটির সভাপতি মন্জুর আহমেদ বাহার। যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত।


জানা গেছে, কোন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী যদি না থাকে তাহলে বরাদ্দকৃত প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাবে। কিন্ত এ প্রতিষ্ঠানের উক্ত টাকা উত্তোলন করে সুপার তা আত্মসাত করেছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন সহকারী শিক্ষকমণ্ডলী।


২০২২ সাল থেকে মাদ্রাসার স্বীকৃতি নবায়নসহ কমিটি মেয়াদ শেষে হলেও তা নাবায়ন ও কমিটির অনুমোদন আনার সুপারের অনআগ্রহের ফলে প্রতিষ্ঠানটি অধিকতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।


অভিযোগকারী ১৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা দায়েরকৃত অভিযোগ বিষয়ে বলে, অফিস সহকারী মো. হুমায়ুন কবির ও সাবেক সভাপতি মন্জুর আহমেদ বাহারের যোগসাজশে সুপার অর্থ আত্মসাৎ করেন। যা অভিযোগ তদন্ত করলেই এর সত্যতা বের হয়ে আসবে।


৭ অক্টোবর , সোমবার সরেজমিনে মাদ্রাসার সুপার মাকসুদুল জাহান মো. নুহু মিয়ার সাথে আলাপ হয়।


তার কাছে জানতে চাইলে টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, উক্ত প্রতিবন্ধীর টাকা মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থ বছরের টাকা এখনও কেন হাতে রেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্ষার জন্য কাজ করতে পারছি না। টিউশান ফি টাকা শিক্ষকদের মাঝে কেন বিতরণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন শিক্ষকদের মাঝে টিউশান ফির টাকা বিতরণ করা হয়েছে।


অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/হুমায়ুন/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com