মান্দায়
কৃষি অফিসের দায়িত্বহীনতা, বিপাকে সবজি চাষিরা
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:০৭
কৃষি অফিসের দায়িত্বহীনতা, বিপাকে সবজি চাষিরা
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কৃষি অফিসের দায়িত্বহীনতায় চরম বিপাকে পড়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার হাজিগবিন্দপুর মাঠের (ফুলকপি) সবজি চাষিরা। আগাম আইসবল জাতের শীতকালীন সবজি (ফুল কপি) চাষ করে হতাশায় ও বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওই মাঠের কৃষকেরা। কোনভাবেই তারা পচানী ও ঢলানী রোগ প্রতিরোধে সুপরামর্শ পাচ্ছেন না। এতে করে মাঠজুড়ে আগাম এ জাতের শীতকালীন সবজি (ফুকপি) মরে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কৃষি অফিসের।


শুক্রবার সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার হাজিগবিন্দপুর সবজি মাঠে পচানী ও ঢলানী রোগের দৃশ্য দেখা যায়। এসময় হাজিগবিন্দপুর বিলের কৃষক আজাদ হোসেন জানান,কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করা হলেও তারা মাঠে আসেনি। ফসলের রোগের কথা শুনে বিভিন্ন কম্পানির নিম্নমানের ঔষধ লিখে দেয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োগ করে কোন কাজে আসে না।এমন দায় সারা পরামর্শের ওষুধ ব্যবহার করে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।


আজিজুল হক ও সুলতান আহমেদ নামের দুই কৃষক বলেন, উন্নত জাতের আইসবল জাতীয় ১০ গ্রাম বীজের দাম ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকায় ক্রয় করতে হয়। ১ বিঘা মাটিতে উৎপাদন খরচ পড়ে গড়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা। অথচ রোগের বিষয়ে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা পরামর্শন দেননি।এমনকি মাঠ ভিজিটও করেননি। এ রোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন ম্যাডামের কছে গিয়েও কোন প্রতিকার বা সু পরামর্শ মেলেনি আমাদের । আমাদের ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে ডেকেও পাওয়া যায় না।


জানা গেছে ওই ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন পরিবার নিয়ে রাজশাহী শহরে থাকেন আর একারণে মাঠে তেমন যেতে পারেন না তিনি।এসব তদারকির দায়িত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার থাকলেও তিনি নিজেও স্টেশনে না থাকার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার কৃষক।


কৃষক ফারুক হোসেন মাষ্টার জানান, পচন ও ঢলানী রোগে মাঠ সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। লোকসানের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। অথচ নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের দ্বায়িত্বহীনতায় আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে তার দায় ভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে।


এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনকে একাধির বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। সেইসাথে মান্দা কৃষি কর্মকর্তাকেও আমি বলে দিচ্ছি।


বিবার্তা/আপেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com