
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ১০ বছর আগে আওয়ামী লীগের মিছিল পরবর্তী সহিংসতায় পৌর বিএনপির ৫ নাম্বার ওয়ার্ড সভাপতি নূর হোসেনের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণশৌচাগার পরিচালক নাদেরের ছেলেকে অভিযুক্ত করে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী সরকার পতনের সপ্তাহ খানেক পর দুর্গাপুর পৌরসভায় রৈপাড়া ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিরুনের ডাকা সালিশি বৈঠকে, বিএনপি নেতা নূর হোসেন, ওমর, মমিন ও ফারুকের উপস্থিতিতে উপজেলার খাসভাগ এলাকায় ১০ বছর পূর্বে নূর হোসেনের মোটর সাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।
এ বিষয়ে নাদের জানান, ১০ বছর আগে খাসভাগে মিছিলে আমার ছেলে আরও শতাধিক মানুষের মাঝে ছিল কিন্তু সে গাড়ি পোড়াইনি। তবুও সবাই আমার ছেলেকে অভিযুক্ত করে জরিমানা করেছে আমি ৭০ হাজার দিয়েছি, আর আমার বেয়াই দিয়েছে ৩৫ হাজার মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা নূর হোসেনকে পরিশোধ করেন বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী সোহাগ জানান, আমি মোটরসাইকেল ভাঙার সাথে কখনোই জড়িত ছিলাম না। কে ভেঙ্গেছে আমি জানি না।
এদিকে, কমিশনার মিরুন প্রথমে ফায়সালার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার পৌরসভায় ছিলাম, ওনারা ওনারা ফয়সালা করেছেন। আমি যতদূর জানি অনেক দিন পূর্বে নূর হোসেনের নামে এক লোকের গাড়ি সোহাগসহ ১০ থেকে ১২ জন পুড়িয়ে দেয় বলে শুনেছি। এর বেশি বিস্তারিত জানি না। তিনি এতো বড় ফয়সালা করার এখতিয়ার রাখেন না বলে জানান।
এবিষয়ে পৌর বিএনপির ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নূর হোসেন জানান, সে সময় উপজেলার খাসভাগ মোড়ে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় মিছিলের ৩ থেকে ৪ শতাধিক লোক আমার ওপরে হামলা চালায়। ওই সময় আমার বাজাজ সিটি হান্ড্রেড মোটরসাইকেলটি ভেঙে রুহুলের ছেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এবং নাদেরের ছেলে সোহাগ চায়নিজ কুড়াল নিয়ে আমাকে তাড়া করে। মোটরসাইকেল এখনো থানায় আছে। মিরুন কমিশনার আমাদের ফয়সালা করে দিয়েছে। ৭০ হাজার টাকা পেয়েছি, বাকিটা সাইদুল মন্টু (রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র) দিতে দেয়নি।
বিবার্তা/বাবর/রোমেল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]