রায়পুরের দুর্গম চরে কুমির, ধরা পড়লো স্থানীয়দের হাতে
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:১৮
রায়পুরের দুর্গম চরে কুমির, ধরা পড়লো স্থানীয়দের হাতে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে কুমির ধরা পড়েছে। বিশালাকৃতির কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মনের কাছাকাছি বলে ধারণা স্থানীয়দের।


২ অক্টোবর, বুধবার দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির একটি হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দের খাল মাছঘাটে নিয়ে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।


রায়পুরের খাসিয়ার চরের বাসিন্দা শাহ আলম মাঝি বলেন, কুমিরটি আমার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরবেলা আমাদের বসত বাড়িতে কুমিরটি আসে। পরে সেটি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করি। তারা কুমিরটি ধরার উদ্যোগ নেয়।


তিনি বলেন, রাতে কুমিরটি আমাদের হাঁসমুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটি ধরতে সক্ষম হই।


তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে মেঘনা নদীর দূরত্ব দুই কিলোমিটার। কুমিরটি নদী হয়ে ফসলি ক্ষেতের ভেতর দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসতে পারে।


মো. সিরাজ মিয়া বলেন, আমি স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে কুমিরটিকে আটক করি। পরে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করি।


স্থানীয় বাসিন্দা খলিল মাঝি বলেন, চরের দিকে আরও কুমির থাকতে পরে। গত এক মাস আগ থেকে লোকজন নদীতে এবং খালে কুমির দেখতে পায়। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ মাস্টারের পুরাতন মাছঘাটে বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে কুমিরে কামড় দেয়। তার ডান পায়ের উপরের অংশের মাংস ছিঁড়ে নেয়। তিনি বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


বিলাল হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ২০ দিন আগে আমি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে ঘুরতে যাই। তখন খালপাড়ে একটি কুমির দেখতে পাই। মুঠোফোনেও কুমিরের ছবি ধারণ করি। এলাকায় আরও কুমির থাকতে পারে।


রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটি আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।


রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তিনি বলেন, বন্যার কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় কোন এলাকা থেকে খাবারের খোঁজে কুমির এ অঞ্চলে চলে আসতে পারে।


বিবার্তা/সুমন/রোমেল/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com