অসীম ক্ষমতা মানুষকে নিশ্চিতভাবে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত করে। আমাদের সংবিধান সরকারকে অসীম ক্ষমতা দেয়। এ কারণেই বাংলাদেশের যেকোনো সরকারই দানবে পরিণত হয়েছে।

৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের আমলে আমরা স্বাধীন দেশে ছিলাম পরাধীন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তাই এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। আগামীতে পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক আর জনগণকে দাস মনে করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন, গুম করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে! তাদের সকল অপকর্মের বিচার থেকে বাঁচতেই তারা পালিয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন অভিযোগ করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে জেলে নিয়ে গিয়ে মানুষকে নির্যাতন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষকে একটা ভীতির রাজত্বে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি যখন ছাত্র, শ্রমিক, জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছেন, তখন এ দেশের মানুষ হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন।’

‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ বিশাল গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তর এর সভাপতি মাও. নজীর আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশ উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ এর সভাপতি মাও.মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথির ছিলেন, মাও. গাজী আতাউর রহমান, মাও. ইমতিয়াজ আলম। গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাও. ফিরোজ আলম এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মাও. খলিলুর রহমান, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতী মুহা. আসেম, মাও. আবুল কাশেম আমিনী, জেলা সহ-সভাপতি মাও. ইউসুফ ভূইয়া, সেক্রেটারি মাও. আলাউদ্দিন হারুন, মাও. কামাল উদ্দিন, কাউসার আহমাদ, মুদ্দাচ্ছির হোসাইন, নুরুদ্দিন আমানতপুরী, ইকবাল হোসাইন, দিদার হোসাইন, মু. হাবিবুর রহমানসহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।

বিবার্তা/সুমন/রোমেল/জেএইচ