রাণীনগরের শিক্ষক পিটুকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২৬
রাণীনগরের শিক্ষক পিটুকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নওগাঁর রাণীনগরে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়া শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।


১ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চত্বরে নিরাপদ সমাজ চাই (নিসচা)-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।


এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় নিরাপদ সমাজ চাই (নিসচা)র ব্যানারে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিসচার উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মেজবাউল হক লিটন সভাপতিত্ব করেন।


এতে কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাক হোসেন, পাভেল রহমান, সদস্য জিল্লুর রহমান, সচেতন সমাজের পক্ষে রকি আহম্মেদ, মোস্তফা হোসেন, এমদাদ ইসলাম, প্রভাষক জাকির হোসেনসহ এলাকার লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন শেষে সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুকে অপসারণসহ তার বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষক পিটুর অনৈতিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ইজ্জত সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে শংকিত হয়ে পরেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশে ফিরে দিতে শিক্ষক পিটুকে অপসারণ ও বিচারের দাবি জানান।


বক্তারা আরো বলেন, পিটুকে আগামী ৭দিনের মধ্যে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থে আরো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


গত এক মাস আগে ওই শিক্ষককে অপসারণ পূর্বক বিচারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।


উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের মে মাসে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগারিক) সাদেকুল ইসলাম পিটুর অনৈতিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে অভিভাবকরা ফুঁসে ওঠেন। নতুন করে শিক্ষক পিটুকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।


শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটু বলেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিওটিতে কে বা করা আমার ছবি আর ওই ছাত্রীর ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডির মাধ্যমে প্রচার করেছিল। তারপরেও এ ঘটনায় ২০২১ সালেই তদন্তে কোন প্রমাণ পায়নি। এরপরেও আমাকে হয়রানি করতেই একের পর এক এসব মানববন্ধন বা অভিযোগ করা হচ্ছে।


রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এছাড়া আগের দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/সাহাজুল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com