
অনিয়ম-দুর্নীতিসহ না্না অভিযোগে ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে মাদরাসা প্রাঙ্গণে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ক্লাস বর্জন করে মাদরাসা ক্যম্পাস থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর মাদরাসা ক্যম্পাসে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিতর্কিত অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে মাদরাসা মাঠে জড়ো হয়। এসময় শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে, এজন্য দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।
উত্তপ্ত এ পরিস্থিতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাদরাসায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা মাদরাসার শিক্ষকসহ উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আহত তানভীর আহমেদ রুপমের অভিযোগ, মাহমুদুল হাসানের নির্দেশনায় তার ছেলে মাদরাসার শিক্ষক জুনাইদ আল মাহমুদের উপস্থিতিতে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী চোরা ও লাঠি নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ছাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফাজিল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম ও ইসমাইল হোসেন জয় নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
বিবার্তা/মনির/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]