
পাবনায় ভারী বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এর ফলে মানুষের বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ।
টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে শহরের শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া চামড়ার আড়ত মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা উপচে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলায় সেগুলোর মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬৫.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) আবহাওয়া ভালো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।
জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির বিষয়ে শহরের আটুয়া এলাকার আবুল কালাম বলেন, ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতির কাজ আর গাফিলতির কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে পানি বের হওয়ার বদলে ড্রেন থেকেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।
পাবনার শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়ার বাসিন্দা মুক্তি স্যানাল বলেন, ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। পানি সেচে রাত কাটিয়েছি ।
পাবনা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার এস.এম মাসুদ বলেন, পাবনা শহরের বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য পাবনা পৌর সভার অন্যতম পানি নিষ্কাশন স্থান দোহারপাড়া ও আরিফপুর সংলগ্ন বুড়িদাহ ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশন খাল সরু হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত গতিতে বের হতে পারছে না, তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য অতি শীঘ্রই এই খাল দখল মুক্ত করে প্রসার করতে হবে।
পাবনা পৌর সভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ) শরিফ আহমেদ বলেন, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি আটকে যাওয়ায় জনগণ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে । এ বিষয়ে পৌরবাসীকে সচেতন হতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এমন কোনো কিছু ড্রেনে না ফেলতে অনুরোধ জানান তিনি।
বিবার্তা/পলাশ/জেনি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]