
লক্ষ্মীপুরে সহিংসতা ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জন হয়েছে। এর মধ্যে আটজন ছাত্রলীগ-যুবলীগের ও চারজন বিক্ষোভকারী। এছাড়া, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসা থেকে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জীবিত উদ্ধারকারীরা কে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ মর্গে রয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন, রায়পুর উপজেলার আবদুল গণির ছেলে ওসমান গণি, সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের কাওসার ওয়াহেদ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ছাবির হোসেন ও আফনান পাওয়ারী নামের আরেকজন। তার বাড়ি জেলা শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায়।
নিহত ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হলেন, তাওহিদ কবির রাফি, আকিবুল হাসান সিফাত, হারুনুর রশিদ, আহমেদ শরীফ, মো. রাসেল ও অজ্ঞাত তিনজন।
জানা গেছে, রোববার (৪ আগস্ট) রাত ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমঝোতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই তাদের দুটি ভবনের ৩ তলা পর্যন্ত সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই দিন দুপুর ১২টায় মাদাম ব্রিজ এলাকায় ও দুপুর ২টার দিকে তমিজ মার্কেট এলাকার বাসা থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালানো হয়।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসার নিচতলা ও পঞ্চম তলা পুড়ে যায়। পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের বাসাতেও আগুন দেয় তারা।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]