
সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একটি অংশ।
এছাড়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ছড়িয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে শত শত গাড়ি মহাসড়কে আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকার রায়েরবাগ ও মাতুয়াইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা গেছে। মহাসড়কে টায়ার ও কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে। এতে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না। আবার কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।
এর আগে বুধবার রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শনির আখড়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গভীর রাতেও চলে এ সংঘর্ষ।
এদিন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সড়ক অবরোধের ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা যাত্রাবাড়ী থানায়ও হামলা চালান।
সংঘর্ষের সময় গুলিতে শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। আহতরা হলেন, সবজি বিক্রেতা মো. বাবলু (৪০), তার শিশু সন্তান রোহিত (২), মনিরুল ইসলাম (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরের মো. ইমরান বাবুর্চি (২৪), নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিন আহমেদ পিয়াস (১৫) ও মো. সোহাগ (২৮)।
এছাড়া হানিফ ফ্লাইওভারে সিয়াম নামের একজন যুবক গুলিতে নিহত হন।
এদিকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। মাতুয়াইলে বেলাল হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, অফিস যাওয়ার জন্য বের হয়েছি কিন্তু রাস্তা বন্ধ। এখন বাধ্য হয়ে অফিসকে জানিয়েছি, আজকে যেতে পারবো না।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]