স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসেছেন খবর শুনে খানসামা উপজেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ দেখা গেছে। সেই সাথে এ সকল প্রতিষ্ঠানের মূল সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। ফলে ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা।

১৩ জুলাই, শনিবার সকালে পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কসহ বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ডে-নাইট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ। এছাড়া মূল সড়কের পাশে অবস্থিত প্রাইম ডায়াগনস্টিকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামফলক খুলে রাখা হয়েছে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করার পরে দুপুরে ধীরে ধীরে কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবা কার্যক্রম শুরু করে।

জানা যায়, খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকায় ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ৩টি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলো কোনটির অনুমোদন নেই। সবগুলোই অনুমোদনের জন্য আবেদনকৃত অবস্থায়। কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ভয়ে তাঁরা সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বলেন, গতকাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই আজ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সড়কের মূল ফলক খুলে ফেলে রাখছি।

ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ বলেন, রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের কাগজপত্র হালনাগাদ করা, সেবার মান বৃদ্ধি করা ও অনিবন্ধিত চিকিৎসকের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেবা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না।

বিবার্তা/জামান/এমজে